‘সেনাবাহিনীর সামনে ভোট চুরি করার মতো সাহস কারো হবে না’

‘দৈনিক আমাদের নতুন সময়’ এর সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেছেন, সেনাবাহিনী যদি ইভিএম পরিচালনা করে তাহলে কারচুপি হবে না। কারণ সেনাবাহিনীর সামনে ভোট চুরি করার মতো সাহস কারো হবে না। বুধবার রাতে এটিএন নিউজের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

নাঈমুল ইসলাম খান , বিএনপির কৌশল হিসাবে নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন ইস্যুতে চাপে রাখবে। বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছে যে নির্বাচনের শেষসময় পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকতে হবে ভোটগণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্র পাহাড়া দিতে হবে। প্রতিটি আসনে আমরা জিতবো না তবে জেতার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করতে হবে। এটাই মূলত নির্বাচনী বিএনপির অসাধারণ কৌশল।

তিনি বলেন, বিগত ৩০ বছর বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়নি। এটা দেশের প্রশাসনের জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আর নির্বাচন কমিশন সচিব সাংবাদিকদের যে কথা বলেছেন যে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা মূর্তির মতো দাড়িয়ে থাকবে এটা তার অনভিজ্ঞতার পরিচয়।

তিনি আরো বলেন, সশস্ত্রবাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী, ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত হয়েছেন এটা আমাদের দেশের রাজনীতির সৌন্দর্য, আর এই নেতারা সৌন্দর্যের বাগানের এক একটা ফুল। এটা দেশের রাজনীতির জন্য একটা সুবাতাশ এবং রাজনীতির জন্য একটা অসাধারণ সময়। বিগত নির্বাচনের মতো নয় এবারের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে।

তিনি জানান,আওয়ামী লীগ কৌশল হিসাবে জাতীয় পার্টিকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কারণ জাতীয় পার্টি যে ভোট কাটবে সেটা মূলত বিএনপির ভোট। এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে এজেন্ট বাড়ানোর সুযোগ পাবে, কারণ জাতীয় পার্টির এজেন্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবে। তবে মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে প্রত্যাহারের একেবারে শেষ সময় পর্যন্ত। মনোনয়ন নিয়ে দরকষাকষি হবে।

তিনি আরো বলেন, ইভিএম ব্যবহার করে কারচুপি করা অনেকটা সহজ হবে, সেটা যেকারো পক্ষে হতে পারে। কারণ এটাতে ব্যালট ছিড়তে হবে না বাটন টিপে অল্প সময়ে অনেক ভোট দেয়া যাবে। তবে সেনাবাহিনী যদি এটা পরিচালনা করে তাহলে কারচুপি হবে না। কারণ সেনাবাহিনীর সামনে ভোট চুরি করার মতো সাহস কারো হবে না। তবে এবারের নির্বাচন হবে হাইভোল্টেজ নির্বাচন।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং পর্যবেক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারচুপি করা কঠিন হবে। আর এমন কিছু আসন থাকবে যেখানে ৫’শ থেকে ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানের মধে জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে, সেখানে নির্বাচনের কৌশলটাই অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে। এবারের নির্বাচনে টান টান উত্তেজনা থাকবে। তবে এখন যে একটা সুস্থির অবস্থা দেখা যাচ্ছে সেটা থাকবে না এটা হাই ভোলটেজ, হাই-টেনশান, উত্তেজনাকরসহ, অতটা হয়তো প্রাণঘাতী হবে না, তবে কিছু প্রাণ সংশয়সহ একটা নির্বাচন হবে।

সূত্র: আমাদের সময়